অর্থ কী আসলেই গুরুত্বপূর্ণ প্রেষণা দেয়ার ক্ষেত্রে ?
একজন বস বা নেতার কাছে অতি সাধারণ প্রশ্ন, আপনি কীভাবে আপনার কর্মীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন? আপনার কাছে যে কর্মীদের কাজের মূল্য আছে তা আপনি কিভাবে বোঝান ?
তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কাজে উৎসাহের জন্য কেবল নগদ অর্থকে গুরুত্ব দেন। আবার একদল কর্মী পাবেন যারা নগদ অর্থ ছাড়া ভাল আচরণ, তাদের প্রতি আপানর আগ্রহ, কাজের মূল্যায়ন, ও স্বীকৃতি প্রত্যাশা করে।
যদিও অর্থেই সবাই প্রেরণা খুজে পায় তথাপি কিছু মানবিক কাজ করলে সেটা আরও কর্মীদের কাছে টেকসয় মনে হয়।
আরও পড়ুনঃ নিজেকে ইম্প্রুভ করার জন্য যা যা জানা প্রয়োজন।
হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের ব্যবসায় প্রশাসনের অধ্যাপক আয়ান লারকিন বলেছেন, “অর্থ মানুষের পক্ষে অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক।” তবে উদ্যোক্তাগণ কেবল অর্থকেই অনুপ্রেরণাকারী হিসাবে ব্যবহার করেন তবে তা দীর্ঘসময়ের জন্য ক্ষতিকর। তাদের এর পাশাপাশি কি কি উপাদান যা কর্মীদের প্রেষণা দেয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আজ কে এ রকম ৩ টি প্রেষণাকারী উপাদান নিয়ে কথা বলব।
১। কর্মীদের স্বায়ত্তশাসন দেয়াঃ
প্রত্যেক ব্যাক্তির কাছে স্বায়ত্তশাসন এবং সম্মান অতিব গুরুত্বপূর্ণ। যখন অর্থ যখন টোপ হিসাবে ব্যবহৃত হয়, এটি ক্ষমতায়নকে ক্ষুন্ন করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে,কর্মীরা নিয়ন্ত্রণ অনুভব করেন এবং তাদের আত্ম-অনুপ্রেরণা ধিরে ধীরে কমে যাবে। আপনি হয়ত বোনাস দিচ্ছেন কর্মীদের কাজের গতি আনার জন্য কিন্তু একয় সময়ের ব্যাক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছেন।
কেমন হয় যদি কর্মীদের যুক্তিসঙ্গত স্বাধীনতা দেয়া যাই,তাদের কথা শোনা এবং তাদের লক্ষ্যগুলি অনুসরণ এবং অর্জন করার সুযোগ করে দেয়া। একটি ইতিবাচক এবং মনোরম কাজের পরিবেশ তৈরি করা যাতে কেবল অফিসে আসার জন্য ও কাজের গতি আনার জন্য আপনার টোপ ব্যবহার করা লাগবে না।
২। কোম্পানির মূল্যবোধ ও লক্ষ্যর দিকে মনজগি হওয়া
যদি বোনাস পাওয়া প্রাথমিক লক্ষ্য হয় তাহলে কর্মচারীরা শর্ট-কাট নেওয়া শুরু করবে। একজন নেতা হিসাবে, প্রতিষ্ঠানের বিস্তৃত লক্ষ্যের উপর জোর দিন এবং আপনার কর্মচারীরা কীভাবে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছায় সেদিকে মনোযোগ দিন।
আপনার কোম্পানি কাজের মানগুলিকে সর্বাধিক সম্পূর্ণরূপে গুরুত্বদেয়া কর্মীদের পুরস্কৃত করুন। যদি আপনি তাদের মূল্যবোধ, প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য বোঝাতে পারেন এবং একই সাথে আপনি তাদের জন্য কি করতে পারেন ও কত টুকু মূল্য দেন সেটা বেশি বেশি করে তুলে ধরা। নিজের পরিবার ভাবুন। দিন শেষে ভাল কাজের জন্য প্রশংসা করুন।
৩। পুরুস্কারের ধরনে পরিবর্তন আনুন
প্রতিটি কর্মচারীর জন্য যেমন আপনাকে আপনার পরিচালনার স্টাইলটি নিখুঁত ভাবে তুলে ধরতে হবে ঠিক তেমনি কি ভাবে আপনি তাদের প্রেরণা দেন সবাই কে তা যথাযথভাবে তুলে ধুরন। আপনার কর্মীদের দক্ষতা, কাজের মান, কার্য এবং লক্ষ্য বিবেচনা করুন।
লারকিন বলে। “আর্থিক পুরষ্কারগুলি সব ধরণের কাজে বা কর্মীদের কাছে মানান সই না” “
মনে রাখবেন, পুরষ্কারগুলি অ্যাড-অনস, পুরো প্যাকেজ নয়। কখনই অর্থ দিয়েই সব সময় কর্মীদের উৎসাহ দিবে এই ফাদে পড়বেন না। লারকিনের মতে, একটি প্রেষণামূলক নিয়ামকের চাইতে দক্ষ ব্যবস্থাপনা অতিব কার্যকর”।
কর্মচারীর সাথে কথা বলুন, তাদের প্রয়োজনীয়তাগুলি বোঝুন এবং তাদের বৃদ্ধি এবং মিটিং মতামত দেয়ার সুযোগ দিন, তাদের কিছুতা ক্ষমতা দিন তাহলে দেখেবেন এই প্রচেষ্টা অনেক বেশি প্রেরণাদায়ী হবে।
পরিশেষে কর্ম ক্ষেত্র কে যদি নিজের পরিবার ভাবা যায় যেখানে সব সদস্য একসাথে একটি সুপরিকল্পিত ও সু নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে ধাবিত হবে। সম্মান, মর্যাদা ও যার যার অধিকার সেটা ন্যায্য ভাবে বন্টিত হবে।